December 23, 2024, 9:43 am

১০ হাজার টাকা অনুদান পওয়ার গুজবে যা করলো শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : Monday, March 8, 2021,
  • 421 Time View

কোভিড-১৯ এর কারণে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে।

এই গুজব বিশ্বাস করে শনিবার থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঢল নেমেছে প্রতিষ্ঠানে। তাছাড়া ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়।

প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের প্রত্যয়ন নিতে শহর এবং প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় যাচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এমনকি শহরে অবস্থান না করা শিক্ষার্থীরাও আবেদনের জন্য ফিরে এসেছে।

কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানশিক্ষক জানান, গত বছরের মতো এ বছরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। দুরারোগ্য ব্যাধি ও দুর্ঘটনার শিকার শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা এই অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দুঃস্থ, প্রতিবন্ধী, গরিব ও অনগ্রসর ছাত্র-ছাত্রীরা এতে অগ্রাধিকার পাবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সংস্কার, আসবাবপত্র, খেলার সামগ্রী এবং পাঠাগার উন্নয়নের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে। ৭ই মার্চ আবেদনের শেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে এটি করোনা প্রণোদনা বা স্টুডেন্ট ভাতা না।

গোবিন্দগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী যুথি খাতুন ও লাবন্য খাতুন জানান, করোনাকালীন স্টুডেন্ট ভাতা হিসেবে ১০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা শুনে তারা প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে অনলাইনে আবেদনের জন্য ভিড় করেছেন। কিন্তু নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ঢোকা যাচ্ছে না। এছাড়া কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে প্রত্যয়ন দিলেও অনেক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা টাকা নিয়েছেন।

উপজেলার পিয়ারাপুর আইজিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. ফিরোজ ও আব্দুর রউফ জানায়, প্রত্যয়নপত্র বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের ক্লার্ক ৫০ টাকা করে নিচ্ছেন।

গোবিন্দগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী শ্যামলী খাতুন ও ফেরদাউসি খাতুন জানান, প্রত্যয়নপত্র নিতে ক্লার্ক ১২০ টাকা নিয়েছেন।

এছাড়া আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে, তাদের কাছে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা ১৫০ টাকা চেয়েছেন।

এবিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এএইচএম আহসান হাবিব বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অনেক বুঝিয়েও মানাতে পারছি না। তারা প্রত্যয়নপত্র নিতে কলেজে এসেছে। তাই তাদের আমরা প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, কর্মচারীসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ প্রত্যয়নপত্রের টাকা নেওয়া হচ্ছে। তথ্যসূত্র: সমকাল

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71